বাসা পরিবর্তনের চিন্তা শেষ? প্যাক এন্ড শিফট হাজির অবশেষ? বিজ্ঞাপন টি দিয়েছেন packnshift 1 year, 10 month ago , ঢাকা , মিরপুর থেকে
বাংলাদেশের অভ্যান্তরে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাড়ী , ফ্লাট , দোকান থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , কমার্শিয়াল স্পেস , অফিস রুম ইত্যাদি খুঁজে নিতে পারেন খুব সহজেই এবং আপনার নিজস্ব বাড়ী , ফ্লাট , অফিস ইত্যাদির ভাড়ার বিজ্ঞাপন দিতে পারেন সম্পূর্ন বিনামূল্যে!
বাসা পরিবর্তন করবেন? অত্যন্ত জরুরী ৫টি বিষয় মাথায় রাখুন।
রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে অনেকেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। চাকুরীতে বদলী-প্রমোশন, সন্তানের স্কুল পরিবর্তন, বর্তমান ও নতুন বাসার সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি সহ আরো বহু কারনেই বাসা বদল করে থাকেন অনেকেই। বাড়িওয়ালার সাথে বনিবণা না হওয়ার কারনেও বাসা পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। আরো আছে যেমন যেমন, গ্যাস পানি বিদ্যুত ইত্যাদি সমস্যাজিনত কারনেও বাসা স্থানান্তর করে থাকেন কেউ কেউ। কেউবা ভাড়া বাসায় আছেন নিজের ফ্লাটে বা বাসায় উঠার জন্য বাসা স্থানান্তর করেন। আবার কেউ কেউ নিজের বাড়িতে সকল সুযোগ সুবিধা না থাকার কারনে ভাড়া বাসায় উঠেন। অথবা নিজের বাড়ি সাধারণ এলাকায় কিন্ত স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অভিজাত এলাকায় বসবাসের জন্যও অনেকেই বাসা পরিবর্তন করে থাকেন। কেউ হয়তো নিজ দেশ পাড়ি দিয়ে বিদেশ বিভূইয়ে পাড়ি দেওয়ার জন্য বাসা বদল করেন এমন সংখ্যাটাও কিন্তু কম নয়। কিন্তু বাসা পরিবর্তন করাটা বিরক্তিকর একটি কাজ হিসেবে মনে করেন অনেকেই। কেননা বাসার সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো করে আবার নতুন বাসায় গিয়ে গুছিয়ে রাখা বেশ কষ্টের। এই বড় কাজটি ছুটির দিনগুলোতেই সেরে ফেলতে হয়। বাসা পরিবর্তনের কাজটি সেরে ফেলার আগে যে ৫ টি বিষয় মাথায় রাখবেন।
====================================================================================================
১. পূর্ব-পরিকল্পনা :
বাসা পরিবর্তন খুব সহজ একটি কাজ নয়। এর জন্য অবশ্যই পূর্ব-পরিকল্পনার প্রয়োজন। আপনি বাসা পরিবর্তন করার জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন ঠিক করুন যে দিনটি আপনার ছুটির দিন হবে এবং এই দিনে অবশ্যই বাসার অন্যান্য সবাইকে থাকতে বলবেন। পিকআপ ভ্যান বা মালবাহী গাড়িকে আগে থেকেই বলে রাখতে হবে। আপনি কোন কোন জিনিস ঠিক কিভাবে নিবেন তার আগে থেকেই একটি পরিকল্পনা করে ফেলুন। এতে করে বাসা পরিবর্তনের মুহূর্তটিতে আপনি কিছুটা স্বস্তিবোধ করবেন।
২. বক্স করে গুছিয়ে নিন :
ধরুন আপনি গুলশান থেকে ধানমন্ডিতে শিফট হচ্ছেন এক্ষেত্রে আপনার বাড়িতে থাকা বড় বড় জিনিস যেমন ফ্রিজ, টিভি, এসি মেশিন, ওয়াশিং মেশিন, ওয়্যারড্রপ, আলমিরা এগুলো আলাদা করে বহন করতে পারেন। এগুলো ছাড়া যেসব ছোট ছোট জিনিস আছে যেমন বালতি, মগ, রান্নার হাড়িপাতিল, কাপড় চোপড় ইত্যাদি বক্স বক্স করে প্যাক করে ফেলবেন। বক্স করে নিলে বহনেও সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে করে কোনোকিছু হারিয়েও যাবে না।
৩. আলাদা আলাদা গুছিয়ে নিন :
বাসার সব জিনিস এক ধরনের না। এজন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে আপনার সামগ্রী আপনি গুছিয়ে নিতে পারেন। যেমন ধরুন রান্নার উপকরণ আলাদা প্যাকিং করুন, কাপড় চোপড় আলাদা প্যাকিং করুন, ছোট ছোট অন্যান্য আরও জিনিস আলাদা করুন। এতে করে আপনি যখন নতুন বাসাতে যাবেন তখন আপনার গোছাতে খুব একটা ঝামেলা হবে না কেননা আপনি জানেন কোন বক্সে কোন সামগ্রী আছে। প্রয়োজনে বক্সের উপরে নামও লিখে রাখতে পারেন। প্রয়োজনীয় কোনো জিনিস সবসময় হাতের কাছাকাছি গুছিয়ে ফেলুন যেন প্রয়োজন হলেই তা বের করে ফেলতে পারেন।
৪. অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন :
আপনার বাসাতে খেয়াল করে দেখুন হয়তবা অনেক জিনিসই অপ্রয়োজনীয়, এগুলো অযথাই পড়ে ছিল আপনার বাসাতে। এমন জিনিস যেমন আপনি পড়েন না এমন কাপড় চোপড়, ভাঙ্গা জিনিসপত্র ইত্যাদি ফেলে দিন। এগুলো অযথা টেনে নতুন বাসায় নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই। এর বদলে আপনি খুব সহজেই নতুন বাসার জন্য নতুন জিনিস কিনে ফেলতে পারবেন।
৫. পরিবহন ঠিক করা :
আপনি কোন ধরনের গাড়িতে মাল বহন করবেন সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে ফেলুন। যেসব গাড়িতে বেশি মাল ধরবে এমন গাড়িই ব্যবহার করতে পারেন। বাসা পরিবর্তনের জন্য মূলত পিকআপ ভ্যান বা মালবাহী বড় ট্রাক ভাড়া করে থাকে। আপনার পুরাতন বাসা থেকে নতুন বাসার দূরত্ব যদি কম হয় তাহলে এর জন্য বিকল্প পরিবহন হিসেবে পায়ে চালানো ভ্যানগাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এই গাড়িগুলোর ভাড়ার ঝামেলাটাও আগেভাগে ঠিক করে নেয়া ভালো। সাথে সাথে সময়ের বিষয়েও ড্রাইভারকে সচেতন করে দেবেন।
Location: ঢাকা - মিরপুর
Rent From : 01 January 1970
Category: বাসা পরিবর্তন শ্রমিক
বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করুন...